IQNA

তিনটি ভাষায় বিবৃতিতে ঘোষণা করা হয়েছিল;

আল- মুআমদানি হাসপাতালে ইহুদিবাদী শাসকের হামলার নিন্দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ

16:40 - October 24, 2023
সংবাদ: 3474554
তেহরান (ইকনা): বিশ্বের  ৯,২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ আল-মুআমদানি হাসপাতালে ইহুদিবাদী সরকারের অপরাধের নিন্দা জানানোর পরে একটি বিবৃতি জারি করেছেন।

বিশ্বের  ৯,২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ আল-মুআমদানি হাসপাতালে ইহুদিবাদী সরকারের অপরাধের নিন্দা জানানোর পরে একটি বিবৃতি জারি করেছেন। 
 
ফারসি, আরবি ও ইংরেজিতে প্রকাশিত এই বিবৃতিটি নিম্নরূপ:
 
বিসমি রাব্বিশ শোহাদা ওয়াস সিদ্দিকিন
গর্বিত "আল-আকসা তুফান" অপারেশন, যা ছিল প্রতিরোধ গোষ্ঠী এবং ফিলিস্তিনি জনগণের দ্বারা তাদের অন্তর্নিহিত অধিকার রক্ষায় একটি স্বাধীন এবং স্বতঃস্ফূর্ত পদক্ষেপ এবং ইহুদিবাদী শাসকের পরিকল্পনার উপর একটি বিশাল এবং ঐতিহাসিক আক্রমণ, আবারও, আল্লাহর বাণী -"وَإِنَّ أَوْهَنَ الْبُيُوتِ لَبَيْتُ الْعَنْكَبُوتِ" “নিঃসন্দেহে সর্বাপেক্ষা দুর্বল ঘর মাকড়সার ঘর”- কে একটি সুনির্দিষ্ট বিশ্বাসে পরিণত করেছে এবং এই দখলদার শাসনের মিথ্যা ভয় ও জাল শক্তিকে প্রমাণ করতে গিয়ে দখলদার শক্তির উপর অপূরণীয় পরাজয় চাপিয়ে দিয়েছে। অবশ্যই, এই পদক্ষেপটি একটি নিপীড়িত জাতির কাছ থেকে তার অধিকার রক্ষায় একটি বৈধ পদক্ষেপ এবং একটি জাতির বিরুদ্ধে ভূমি দখলকারী এবং আগ্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করা সবচেয়ে মৌলিক অধিকার যা সকল ধর্ম ও বুদ্ধিবৃত্তিক পেশার সাথে সকল সম্মানিত ও মুক্ত মানুষ গ্রহণ করেছে।
অন্যদিকে, ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর নিষ্ঠুর ও ভয়ঙ্কর আচরণ, যা তার কয়েক দশকে ফিলিস্তিন দখলের সময় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণকে বর্ণবাদী নীতির মাধ্যমে হত্যা, অপরাধ ও নিষ্ঠুরতার কাছে উন্মোচিত করেছে এবং এই শাসনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের মৌলিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন, হত্যা ও পবিত্র স্থানের অপবিত্রতায় পরিপূর্ণ এই শাসনের অশুভ রেকর্ড প্রতিটি মুক্ত মানুষের হৃদয়কে ব্যথিত করে। গাজায় আজ যা ঘটছে এবং আবাসিক বাড়িঘর, অবকাঠামো সুবিধা, মসজিদ, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল এবং ত্রাণ বাহিনীর উপর এই কয়েকদিনের নৃশংস হামলা এবং জ্বালানি, পানি ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের স্পষ্ট উদাহরণ।
আন্তর্জাতিক এবং মানবাধিকারের সংক্রান্ত সংস্থা, সমাবেশ এবং প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আশা করা হয় যে,
ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার সমুন্নত রাখতে এবং দখলদারদের শাস্তি দেওয়ার জন্য নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা ত্যাগ করে তাদের আইনগত ও মানবিক দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে, এইসব অনস্বীকার্য অপরাধে বাধা যেন দেওয়া হয় যা মানুষের জন্য কলঙ্কজনক বলে বিবেচিত হয়। একটি নিষ্পত্তিমূলক প্রতিক্রিয়ার সাথে এবং কার্যকরভাবে ইহুদিবাদী শাসনের অপরাধের নিন্দা করার পাশাপাশি এই শাসনকে এই কর্মগুলি চালিয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা, বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা, ফিলিস্তিনি শহীদদের বিশুদ্ধ আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার পাশাপাশি নিজেদেরকে তাদের সহানুভূতিশীল বলে মনে করি এবং ইসরাইলি শাসনের বর্বরতা ও জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা করার তাদের সহজাত ও আইনগত অধিকারের উপর জোর দিই। আমরা এই শাসনের অমানবিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য বিশ্বব্যাপী সংকল্প এবং জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিই এবং আমরা বিশ্বাস করি যে ফিলিস্তিনে শান্তি ও স্থায়ী শান্তি কেবলমাত্র দখলদারিত্বের অবসান, শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন, সংকল্পের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এবং গণভোটের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের ভবিষ্যত ব্যবস্থা নির্ধারণ ও এই গণভোটে সমস্ত ফিলিস্তিনিদের অংশগ্রহণ এবং শেষ পর্যন্ত কুদস শরিফের রাজধানী সহ একটি ঐক্যবদ্ধ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব হবে।
আমরা বিশ্বের চিন্তাবিদ, বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদদের, বিশেষ করে ইসলামী বিশ্বের অধ্যাপকদেরকেও আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, এই জঘন্য অপরাধের নিন্দায় অভিন্ন অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি এই নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে কথা বলতে এবং এই অবস্থায় তাদের রক্ষা করার জন্য তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক দায়িত্ব ভুলে যাওয়া উচিত নয় এবং চোখের সামনে সবচেয়ে নৃশংস মানবিক বিপর্যয় ঘটতে না দেওয়া। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো সন্ত্রাসী ও নৃশংস ইহুদিবাদী সরকারের শাস্তি জন্য আহ্বান জানানো। বিশ্বের জানা উচিত যে গাজার জনগণ একা নয় এবং ফিলিস্তিন সর্বদা ইসলামী বিশ্বের অঙ্গ ছিল, আছে এবং থাকবে।
و العاقبه لاهل التقوی و الیقین
 
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা কেন্দ্রের সকল অধ্যাপকগণ এই প্রচারণার সমর্থক হিসেবে তাদের নাম, উপাধি এবং তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিচের ই-মেইলে পাঠাতে পারেন।
info@iqna.ir
 
captcha